বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:০১ পূর্বাহ্ন
ভয়েস প্রতিবেদক
আসন্ন মহেশখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে যুবনেতা সাজেদুল করিমকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চান মহেশখালীর সর্বস্তরের মানুষ। সময়ের বাস্তবতায় তিনিই হতে পারেন এবারের আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট পদপ্রার্থী এমন গুঞ্জনই এখন সাধারণ জণগনের মুখে মুখে। এমন লক্ষকে সামনে রেখেই মহেশখালী উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল করিম সাংগঠনিকভাবে প্রচার প্রচারণা করে যাচ্ছেন বলে জানান মহেশখালী যুবলীগের এক শীর্ষ নেতা। সাজেদুল করিম বর্তমানে মহেশখালী উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এবং আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।
মহেশখালীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায়, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ আওয়ামী লীগ—যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নতুন প্রজন্মের নেতা—কর্মীরা জানিয়েছেন, এলাকাবাসীর অত্যন্ত আস্থাভাজন ও তাদের সুখ—দুঃখের অংশীদার হিসেবে সাজেদুল করিম আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে তার মতো আমজনতার মাঝে সমাদৃত ও গ্রহণযোগ্য বিকল্প কোন প্রার্থী নাই।
লবণ আমদানি বন্ধের দাবি এবং লবণের ন্যায্য মূল্যের জনদাবি নিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন সাজেদুল করিম, ফাইল ছবি
জানতে চাইলে, বড় মহেশখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জিল্লুর রহমান মিন্টু (বড় মহেশখালী ইউপি মেম্বার) বলেন, দলীয় প্রার্থী কে হবেন কাকে দিচ্ছেন বা কি হবে তার জানা নেই। তাই এবিষয়ে আগাম মন্তব্য ঠিক হবেনা। তবে শুনেছি যুবলীগের সাধারন সম্পাদক সাজেদুল করিম প্রার্থী হতে পারেন। তাকে যুবলীগ থেকে উৎসাহ দেয়া হচ্ছে। গতবারেও তাকে মহেশখালী উপজেলার মানুষ বিপুল ভোট দিয়েছিলেন। ব্যক্তি হিসেবে ও মনের দিক থেকে বড় মাপের মানুষ। তিনি প্রার্থী হলে তাকে মহেশখালীর মানুষ এবারে বিজয়ী করবে এমন জোর মন্তব্য তার।
ছোট মহেশখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: হেফায়ত উল্লাহ বলেন, নানা কারণে ছোট মহেশখালীর মানুষ পরিবর্তন ও নতুনত্ব চায়। এই পরিবর্তন ঘটাতে এবারের যোগ্য নেতা হিসেবে ছোট মহেশখালীর মানুষ সাজেদুল করিমের কথা বলছে। শুনেছি তিনি এবারেও প্রার্থী হবেন। তার বিশ্বাস তিনি যদি প্রার্থী হন তাহলে ছোট মহেশখালীর মানুষ তাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবে। যুক্তি হিসেবে বলেন, ছোট মহেশখালীর সচেতন মানুষ তারুণ্যকে পছন্দ করে পেশী শক্তিকে বয়কট করে।
কুতুবজোম ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা ও বর্তমান একজন মেম্বার বলেন, প্রতীক দিক বা না দিক দল যাকে মনোনীত করে তার পক্ষেই কাজ করবে।তবে দল যদি তারুণ্যে ভরপুর কর্মঠ ও দক্ষ নেতা হিসেবে এবারে সাজেদুল করিমকে প্রার্থী করেন এটা হবে সঠিক ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। তার মতে সাজেদুল করিমের মহেশখালী উপজেলা জুড়ে কর্মি বাহিনী আছে অন্যদিকে একটি বিশাল ভোট ব্যাংকও রয়েছে।
শাপলাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সামেদুল ইসলাম বলেন, জনবান্ধব নেতা হিসেবে সাজেদুল করিমের মহেশখালীর ৮১টি ওয়ার্ডে তার বিচরণ ও পরিচিতি রয়েছে তেমনি শাপলাপুর ইউনিয়নেও তার ভালো পরিচিতি সমান জনপ্রিয়তা আছে। সার্বিক বিবেচনায় তার মতে এবারের নির্বাচনে সাজেদুল করিমকেই শাপলাপুরের মানুষ বেশি ভালোবাসবে তিনি যদি প্রার্থী।
মহেশখালী উপজেলা শাখার আওয়ামী মহিলা লীগ, সাধারণ সম্পাদক সেলিনা আক্তার বলেন, দলের বিষয়ে এখনো কোন কিছু স্পষ্ট নয়। যেহেতু দল করি তাই দলের পক্ষেই থাকব। তবে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে যুবলীগ নেতা সাজেদুল করিমের নাম সবচেয়ে বেশি উচ্চাতির হচ্ছে মানুষের মুখে মুখে। তিনি শুনেছেন সাজেদুল করিম জমি বিক্রি করে রাজনীতি করেন। যেটা বর্তমান সময়ের জন্য দৃষ্টান্ত। তাই তিনি যদি প্রার্থী হন সেটা সাধারণ মানুষের জন্য যেমন ভালো তেমনি দলের জন্যও ভালো। আমি তার জন্য শুভকামনা করি।
সাধারণ মানুষের সাথে মিশে যাওয়া যার স্বাভাবিক অভ্যাস। গত উপজেলা চেয়ারম্যান ভোটে এক ভোটারকে বুকে জড়িয়ে ধরছেন জননেতা সাজেদুল করিম। ফাইল ছবি ।
যুবলীগ নেতা কালামার ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সাবেক মেম্বার আক্তারোজ্জামান বাবু বলেন, সাম্প্রতিক নির্বাচনের অভিজ্ঞতায় বলতে পারি দলের জন্য নিবেদিত ও বিশ্বস্ত নেতার বড়ই প্রয়োজন। সেই প্রয়োজন ও বিশ্বাস রাখতে পারবেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল করিম। তাই তাকে প্রার্থী করা হলে দলের জন্য ভালো হবে। পাশাপাশি মহেশখালীর মানুষ একজন সাদা মনের মানুষ পাবে। এই ইউনিয়নে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা আছে বলে উল্লেখ করে আরো বলেন, সাজেদুল করিমের প্রতি তার নির্ভরতার জায়গা হচ্ছে সাজেদুল করিম এখনো পর্যন্ত যে রাজনীতি করছেন তার বাপের টাকায় জমি বিক্রি করে।
হোয়ানক ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: মিজান চৌধুরী বলেন, উনি (সাজেদুল করিম) প্রার্থী হচ্ছেন শুনেছি,সাংগঠনিকভাবে এখনো আমাদের জানানো হয়নি। জানামতে উনি এলাকায় খুবই জনপ্রিয়। আমাদের যুবলীগের কাছে, যুবসমাজের মাঝেও প্রিয় একজন প্রিয় ব্যক্তিত্ব।
মহেশখালী উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন—আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল কাইয়ুম বলেন, কর্মি বান্ধব ও দক্ষ যুব নেতা হিসেবে পরিপক্ষতার পরিচয় আছে সাজেদুল করিমের। তাঁর মুখ থেকে শুনেননি তিনি যে নির্বাচন করবেন। তবে এলাকায় প্রায় মানুষ তার কাছ থেকে জিজ্ঞাসা করেন সাজেদুল করিম উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হচ্ছেন কিনা। তাতে বুঝা যায় মানুষের ভিতর তাঁকে একটা আকাঙ্খা আছে। তাঁর বিশ্বাস তার এলাকার মানুষ তাকে সাপোর্ট করবে।
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে মহেশখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হবেন কিনা জানতে চাইলে মহেশখালী উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল করিম বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রাবস্থা থেকে এ পর্যন্ত রাজনীতি করে আসছি। প্রত্যেক রাজনীতিকের একটা উদ্দেশ্য থাকে জনপ্রতিনিধি হয়ে মানুষের সেবা করা। তা আমার মাঝেও আছে। দল, এলাকার মানুষ এবং সর্বস্তরের মানুষ চাইলে এবারেও প্রার্থী হব ইনশাআল্লাহ। গতবারেও উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলাম তখন প্রেক্ষাপট ভিন্ন ছিল। সেই থেকে প্রতিটি ইউনিয়নের মানুষ যেভাবে দলমত নির্বশেষে আমাকে ভালোবাসা দেখিয়েছেন তা থেকে সবসময় উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা পাই।
দলীয় সূত্রে জানাযায়, এখনো পর্যন্ত কোন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ বা ছাত্রলীগ থেকে কোন প্রার্থী প্রকাশ্যে ঘোষণা বা সক্রিয় কর্মকান্ড দেখা যায়নি। মহেশখালী যুবলীগ সূত্রে জানাযায়, বর্তমান যুবলীগের মাঝে চমৎকার বুঝাপড়া ও ঐক্য রয়েছে। এই ঐক্য ধরে এগুতে পারলে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয় আসা খুব সম্ভব।
ভয়েস/জেইউ।